শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

লোন দিয়ে বিপাকে কালীগঞ্জের সোনালী ব্যাংক !

Reading Time: 2 minutes

শেখ ইমন, ঝিনাইদহ :
সিসি লোন দিয়ে বিপাকে পড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা। অভিযোগ উঠেছে প্রয়াত এক স্কুল শিক্ষক জীবিত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী সন্তানের প্ররোচনায় পড়ে ব্যাংক থেকে সিসি লোন করেছিল। স্কুল শিক্ষক মারা যাবার পর এই বিষয় নিয়ে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক নন্দ কুমার শিকদার ২০১০ সালের ৩০ আগষ্ট কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকার সিসি ঋণ গ্রহন করেন, যার মঞ্জুরী পত্র নং ১১৮৫। ব্যাংকের ভাষ্যমতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নন্দ কুমার শিকদার ব্যাংকের সাথে লেনদেন করেন। এরপর থেকে তিনি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেন। টাকা না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে ব্যাংক মামলা করে। নন্দ কুমার মারা যাওয়ার ফলে মামলায় বিবাদী করা হয় তার ছেলে অসিম কুমার ওরফে অমিত শিকদার, সুমিত কুমার ও স্ত্রী ইতি শিকদার।
এদিকে ব্যাংকের দায়ের করা মামলা নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ৩৬ নং নিশ্চিন্তপুর মৌজার আরএস ২৩২৯ ও এসএ ১৯১ দাগের ৫ শতক জমির নামে সিসি লোন করেন নন্দ কুমার। কিছুদিন পর তার স্ত্রী ও সন্তান কৌশলে ব্যাংক কে না জানিয়ে তারা নিজেদের নামে জমি লিখে নেই এবং তারপর লোন পাশ হয়ে গেলে নন্দ কুমারকে দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে। কয়েকদিন পরে নন্দ কুমারকে বাড়ি ছাড়া করে দেয় তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।
তারা আরও বলেন, অসিম শিকদার একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে যশোর ও কালীগঞ্জ থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। সে এলাকার বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে। আর তার মা তাকে মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে। স্ত্রী ও সন্তানেরএই অত্যাচার সইতে না পেরে নন্দ কুমার তার মেয়ের বাড়ি কেশবপুরে চলে যায়। পরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কালীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী অসিম শিকদারের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে।
বিষয়টি নিয়ে নন্দ কুমারের স্ত্রী ও সন্তানের মতামত জানার জন্য তাদের বাড়িতে একাধিক বার গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ কামাল হোসেন জানান, ঋণ প্রদানের সময় আমি ছিলাম না। আমি ২০২০ সালে যোগদান করেছি। তিনি বলেন, ব্যাংক টাকা আদায়ের জন্য যা করেছে তা দেশের প্রচলিত আইনেই করেছে। তিনি বলেন, বিবাদীগন ব্যাংকের আসল টাকা দিয়ে সুদ মওকুফের দরখাস্ত করলে নিলাম থেকে রেহাই পেতে পারেন। কারণ কারো ভিটে থেকে উচ্ছেদ করা ব্যাংকের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু বিবাদীগণ সেটা না করে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবস্থান করে একের এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। এতে করে তারা বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com